সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ভোটারদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন- ‘নাজিরাবাজার, স্টার কাবাব, এলাকা, ডিপার্টমেন্ট, ক্লাব কিংবা অভিনব আরো অনেক কোরাম বা ইজম! সবকিছু আজকে রাতে ঘুমানোর আগে পর্যন্তই মনে রাখবেন। ঘুম থেকে উঠে নির্দিষ্ট পদে সেই মানুষটাকে নির্বাচিত করবেন যিনি আপনার বিবেকবোধের জায়গা থেকে ওই পদে সবচেয়ে যোগ্য।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যোগ্যতা মানে এটা নয়- কার সিজিপিএ কত কিংবা কে ওই বিষয়ে কতটা দক্ষ। ওই বিষয়ে তার কিছুটা ধারণা থাকতে হবে এটা যেমন ঠিক তেমনি এটাও মনে রাখতে হবে- আপনি এখানে একাডেমিশিয়ান নির্বাচিত করছেন না। আপনি আপনার লিডার নির্বাচিত করছেন, আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব নির্বাচিত করছেন।’
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কিছু বিষয়ে মাথায় রাখবেন। আপনার লিডার এমন হতে হবে যিনি সরকার পালাবদলের পরও আপনার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আপোসহীন থাকবে, সাহস নিয়ে যৌক্তিক দাবি আদায়ে ক্ষমতার সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।’
তার মতে, ‘ইশতেহার দেওয়া, নির্বাচিত হওয়া আর দাবি আদায় করে নিয়ে এসে বাস্তবায়ন করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।’
ভোটারদের বিবেকবোধের সঙ্গে ন্যায়বিচার করার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনি ডাকসুতে নিজের ভোট দেওয়ার সময় নিজের বিবেকবোধের সাথে যতটুকু ন্যায়বিচার করবেন, আগামীর বাংলাদেশ থেকে নিজের প্রতি ঠিক ততটুকুই ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করবেন।’
শেষে তিনি ডাকসুর জয় কামনা করে লেখেন- ‘ডাকসুর জয় হোক।’
ছয় বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আয়োজনে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এবার ভোট দেবেন মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।