মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ থানার এসআই কামাল হোসেন।
নিহত ফাতেমা বেগম কালিগঞ্জ উপজেলার কাকশিয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
জানা যায়, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাকশিয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তার মেয়ে খালেদা বেগমের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সেদিন বিকেলে খালেদা তার স্বামী আফজাল, মেয়ে সাজেদা ও সুমাইয়া এবং ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে যান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মিলে ফাতেমা বেগমকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকেন। পরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে তার বোন সেলিনা বেগম কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার এসআই তপন কুমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ ঘটনায় নিহতের বোন সেলিনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে মেয়ে খালেদা বেগম, জামাই আফজাল ও দুই নাতনিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ থানার এসআই কামাল হোসেন বলেন, আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।