ঘটনার সুত্রে জানাজায়, উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে পরিষদের সামনে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে এর প্রভাবশালী। সেই জমি নিয়ে সরকারের পক্ষে আদালতে মামলা মামলা দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দার এমরান হোসেন যার মামলা নং ১৯৮/২৩। সেই মামলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর আদালত রায় প্রদান করেন ২২শে মে ২০২৩ সালে। সেই রায়তে সরকারি জমি দখলে নেওয়ার জন্য ওসি ফরিদগঞ্জ, এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে সেই রায় আজও বাস্তবায়ন করেননি উপজেলা প্রশাসন। এমন কর্মকান্ডে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সরকারের জন্য দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার সামনে ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। নিরুপায় স্থানী বাসিন্দা এমরান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার রায় সরকারি জমি প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। তারা কোনো কারণে বুকিং হয়ে আছে কিনা আমরা জানিনা। কিন্তু বিষয়টা খুব দুঃখজনক।
ইউনিয়ন সরকারি ভূমিকর্মকর্তা গুলশান আরা ইয়াসমিন বলেন, আদালতের নির্দেশে পরে আমরা একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করি যার মামলা নং ৩৫৬/২৩। উক্ত জমির উপরে আমরা আদালতে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি এবং রিসিভার নিয়ে কথা বলেছি। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রশ্ন তিনি বলেন আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত থেকে দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, সরকারি জমি দখলের বিষয়ে আমি এসি ল্যান্ডকে বলবো ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য । অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আদালত তো নির্দিষ্ট কোন সময় বেধে দেয়নি। তাই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ।