ঢাকা মেইল, দেশ রূপান্তর দখলে এবং পঞ্চম স্থানে একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, দৈনিক আমাদের সময়, কালের কণ্ঠ, ডেইলি বাংলাদেশ, বাহান্ন নিউজ। একটি মাত্র ভুল সংবাদ প্রচার করে তালিকার সর্বশেষ ১৬ তম স্থানে আছে ডেইলি স্টার, বিবিসি বাংলা, বিডিনিউজ-২৪ সহ আরও ২৬টি গণমাধ্যম।

২০২৩ সালের গত তিন মাসে মোট ৮২ টি বিষয়ে দেশীয় ১২৭ টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বমোট ৬৮৫ টি প্রতিবেদনকে ভুল হিসেবে শনাক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। মোট ৮২ টি ঘটনার় ৪৮ টি মিথ্যা, ৩২ টি বিভ্রান্তিকর, ০১ টি আংশিক মিথ্যা এবং ০১ টি বিকৃত তথ্যকে সত্য তথ্য হিসেবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।  আন্তর্জাতিক তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান "রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশে'র" সদ্য প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ই এপ্রিল শনিবার রাত নয়টা বেজে এগারো মিনিটে রিউমর স্ক্যানারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়, "২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্যের খতিয়ান" শিরোনামের এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯টি ভুল তথ্য দিয়ে প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সময় টিভি। দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা পোস্ট, ইনকিলাব করেছে ১৫টি ভুল প্রতিবেদন। ডিবিসি নিউজ, বাংলাদেশ টুডে, জুম বাংলা, আমাদের সময় আছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থান – ঢাকা মেইল, দেশ রূপান্তর দখলে এবং পঞ্চম স্থানে একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, দৈনিক আমাদের সময়, কালের কণ্ঠ, ডেইলি বাংলাদেশ, বাহান্ন নিউজ। একটি মাত্র ভুল সংবাদ প্রচার করে তালিকার সর্বশেষ ১৬ তম স্থানে আছে ডেইলি স্টার, বিবিসি বাংলা, বিডিনিউজ-২৪ সহ আরও ২৬টি গণমাধ্যম।

অনুসন্ধানে “নির্যাতনের অভিযোগে আরজে কিবরিয়ার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন তার স্ত্রী রাফিয়া লোরা,” “চট্টগ্রামে সাকিবের উপর হামলা,” “বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লি সমাগমের দৃশ্য,” “সংকটের সীমানায় অর্থনীতি : আইএমএফ,” “নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ছবি,” “সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ছাত্রের মৃত্যু,” “বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির গায়ে জড়ানো আরব গ্রাউন-বিশত তৈরি বাংলাদেশের বগুড়ায়”– শীর্ষক প্রতিবেদন সহ আরও ৭৫টি প্রতিবেদনে ভুল তথ্য কিংবা ভুল ছবি প্রচার হওয়ার কথা উঠে এসেছে।