উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩,০০০ ইয়াবা ও অর্ধ লক্ষাধিক নগদ অর্থসহ দুই মাদক কারবারি আটক করেছে র‌্যাব-১৫। গত মঙ্গলবার (২৬সেপ্টেম্বর) রাত ৪ টার তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব-১৫, জানায়, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। র‌্যাব আরো জানায়, র‌্যাবের এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এক মহিলাসহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। পরে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৩৩,০০০ (তেত্রিশ হাজার) ইয়াবা ও নগদ ৫৫,০০০ (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা, ০৩টি বাটন মোবাইল ফোন ও ০৪টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন,মৃত, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে, মোঃ জাহেদ হোসেন (৩৭), সাং-উনছিপ্রাং, ০৩নং ওয়ার্ড। আব্দুল আজিজ'র স্ত্রী,  এলেম বাহার (৪৫) সাং-পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড।  উভয়ের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। আটক মাদক কারবারির স্বীকার উক্তি অনুযায়ী র‌্যাব ঘটনা স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই আরো দুইজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদ্বয় স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা এবং পলাতক মাদক কারবারীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ পরষ্পর যোগসাজসে নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।