মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল (৫৬) বছর। দর্শনা পৌর সভায় যখন মৃত্যুর সংবাদ পৌছায় সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে শোকের ছায়া।জানা যায়, দর্শনা পৌর আ,লীগের সভাপতি ও দর্শনা পৌরসভার চার চারবারের সফল মেয়র বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মোঃ মতিয়ার রহমান(৫৬))এর জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় ভালোবাসার নিদর্শন তৈরি করতে নিজের জীবন বিপন্ন করে স্বামীকে লিভার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার পত্নি মোছাঃ রোজী রহমান(৫৩)। গত ২৫ নভেম্বর রাত নয়টারদিকে ভারতের দিল্লির এ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁদের লিভার প্রতিস্থাপন করে। সব চেষ্ঠার পরও বাচানো গেলো না। দর্শনা পৌরসভার মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে লিভারের জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ ও ভারতে বহুবার চিকিৎসা নেবার পরও তার শরীরের কোন উন্নতি না হবার কারণে ডাক্তারা তাকে লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শে তার লিভার প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তার সহধর্মিনী রোজি রহমান নিজের জীবনকে বিপন্ন করে স্বামী মেয়র মতিয়ারকে লিভার দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আ,লীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার( সেলুন), চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, জেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আ,লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফসহ আরো অনেকে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পারিবারিক সূত্র জানা যায়, আগামী কাল বৃহস্পতিবার যে কোন সময় মতিয়ার রহমানের লাশ বাংলাদেশ পৌছাবে বলে জানিয়েছেন।