দাগনভূঞা উপজেলার দাদনা খাল একটি গুরুত্বপূর্ন খাল। এ খাল উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ও কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। কিন্তু খালটি দাগনভূঞা বাজার অংশটি প্রায় ভরাট হওয়ার পথে।

যার কারনে বর্ষা মৌসুমে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলে জলাবদ্ধতার চরম আকার ধারন করে এবং কৃষকের শত শত একর জমির ফসল, ঘরবাড়ি, মৎস প্রকল্প ও রাস্তাঘাটে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া জলাবদ্ধতা কারণে পানি দূষিত হচ্ছে এবং মানুষ সহ সকল প্রানী সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে নল কুপ এর পানিতে ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা পানের আযোগ্যা । ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে আমি ৪০ বছরেও দেখি সংস্কার বা খনন করতে। 

বর্জ্য ফেলার কারণে বৃষ্টি এলেই পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দাগনভূঞা আজিজিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি নুরুল হুদা হুদন জানান খালের ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধের কারণে মাদ্রাসা ছাত্র ছাএী অসুস্থ হয়ে পড়ে পাঠদানের কোন পরিবেশ নেই তিনি আরও বলেন ব্যবপারে মেয়র সাহেব কে অবগত করা হয়েছে কিন্তু আজও কোন কুল কিনারা হলো না। বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন জানান খালটি ভরাট হওয়ার কারণে যেমন তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা তেমনি দুর্গন্ধের কারণে আমার ব্যবসায়ীরা দোকানে বসতে পারে না।  দাগনভূঞা পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান জানান দাদনা খালটি আমাদের নয় এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমরা শুধু পরিস্কার করে দিতে পারি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান,খাল খননের কাজ সাধারণত বিএডিসি করে থাকেন। সরকারের হাতে যে ৬৪ জেলা প্রকল্প আছে তাতে আমরা দাদনা খালের প্রস্তাবনাও পাঠিয়েছি।পাস হয়ে আসলে কাজ করা হবে। তাঁর আগে আমাদের কিছুই করার নেই। নদী দখলের ব্যাপারে তিনি জানান, খাল খননের কাজ শুরু হলে আমরা সাবেয়ার দিয়ে মেপে দেখবো। আমাদের জমি হলে আমরা উদ্ধার করবো। তাছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই। তাই খালটি সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।