ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মোঃ মোশারফ হোসাইন। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সরাইলবাসির শান্তি সম্প্রীতির জন্য। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখলে দিন কিংবা রাতে ছুটে যান ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দেন উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনার মধ্যে ভূইশহর, রাণীদিয়া, ধামাউড়া, সরাইল সদর এলাকায় একটি ঝগড়া ও কালিকচ্ছ এলাকায় একটি ঝগড়া রাতের বেলা হয়েছিল দেখা গেছে সেখানেও তিনি রাতের আঁধারে ঘটনাস্থলেও উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতা তৈরি করে শান্তিপ্রিয় ভাবে মীমাংসা করেন। এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন হয়ে থাকবে বলে এলাকাবাসীরমন্তব্য। এছাড়াও উনার কাজের দক্ষতা, জনবান্ধব আচার-আচরণ ও জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখে প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি হয়ে ওঠছেন মানুষের আস্থার প্রতীক ।
উপজেলার যেকোনো অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তাছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ৫ আগস্টের পর নানাবিধ কারনেই মাঠ প্রশাসনে কাজের চাঁপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদে থাকার কারনে নির্বাহী অফিসারের কাজের চাপ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কাজের চাঁপ বৃদ্ধি পেলেও এ উপজেলায় নাগরিক সেবার মান একটুও কমেনি। বরং আগের চেয়ে সেবার মান বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসাইন। এছাড়াও সর্বশেষ সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইক্রোস্ট্যান্ডের শ্রমিক ও ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়ে মামলায় হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ইউএনও মোঃ মোশারফ হোসাইন নিজে দায়িত্ব নিয়ে মিমাংসা করেন।
সরেজমিনে তার কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, বাজার মনিটরিং, প্রতিদিন নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানেও নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। রাতের বেলা ও বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোড পরিচালনা করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। সে হিসেবে যেখানেই চাকরি করেছি সবসময় নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেদিন এ উপজেলায় যোগদান করেছি, সেদিনই বলেছি এ উপজেলা আমার। তাই আমার এ উপজেলার প্রতিটি নাগরিককে শতভাগ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যতোদিন এ উপজেলায় রয়েছি ততদিন এভাবে সেবা প্রদান করতে চাই।