দিনাজপুর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী পুরুষ ও শিশুসহ ৮ জন অগ্নিদগ্ধ, একজনকে জাতীয় বার্ন ইউনিট হাসপাতালে স্থানান্তর
দিনাজপুরের কালীতলায় বসতবাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শিশু নারী ও পুরুষসহ ৮ জন অগ্নিদগ্ধ। সকলকেই দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ২৪ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া রিয়াজ উদ্দিনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ইউনিট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ৩ টায় দিনাজপুর শহরের কালীতলা মাহবুব রহমানের বাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন (২০),সে দিনাজপুর সদরের মাজাডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছেলে।
অগ্নিদগ্ধ বাড়ির মালিক মাহবুবের স্ত্রী রুবিনা আক্তার (৪৫)। প্রতিবেশী নরেশ চন্দ্রের ছেলে মলয় চন্দ্র (৩০) প্রতিবেশী সাল্লুর স্ত্রী আমিদা রানী (৪৬), প্রতিবেশী কামরুদ্দিনের ছেলে শাহজাহান কবির (৬০), প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম বুলু সাবেক কমিশনারের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪৫) ও তার ছেলে স্বচ্ছ (১৩), প্রাইভেট শিক্ষক ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সজীব (২৬), সে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
অগ্নিদগ্ধ সজীব (২৬) বলেন, দোকান থেকে একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার মাহবুব এর বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর সংযোগ দেওয়ার পর থেকেই লিকেস দেখা যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ বন্ধ করার জন্য কয়েকজন চেষ্টা করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায়। এই লিকেস অবস্থায় রিয়াজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি লিকেজ বন্ধ করার জন্য পুনরায় রান্নাঘরে প্রবেশ করে। এরই একপর্যায়ে রান্নাঘরে হঠাৎ করেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির কয়েকজন দেখতে আসা সেই সিলিন্ডারের আগুনের ছিটকা তাদের গায়েও লাগে। ঘরের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির মালিক মাহবুব রহমানের স্ত্রী রুবিনা বেগম সহ ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন ডাক্তার ইসরাত রূপালী ও ডাক্তার নেন্সি জানান, অগ্নিদগ্ধ হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরুষ সার্জারি ও মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে নারী-পুরুষ ও একজন ১৩ বছরের কিশোরসহ আটজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে রিয়াজউদ্দিন নামক এক অগ্নিদগ্ধ রোগীর অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় বিরোধী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তার প্রায় ২৪ শতাংশ শরীর ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছে।