দিনাজপুরের বিরল উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান ও বিদেশি পাখির অভয়ারণ্য কড়াই বিলের শত শত গাছ কাটা হয় গত কয়েকদিনে। বিউটিফুল দিনাজপুরে গতকাল সংবাদ প্রকাশের আগ-পর্যন্ত উদাসীন প্রশাসন 'জানতোই না' এ ঘটনা সম্পর্কে।
মুকুলে ভরপুর আম গাছগুলী দীর্ঘ ১০ দিন ধরে কেটে সরিয়ে ফেললেও নাকি গাছের টেন্ডার বা গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেনা বন বিভাগ বা উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে পস্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকছেদ আলী মঙ্গলীয়ার নেতৃত্বে আম গাছগুলো কর্তন করেছেন জেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জবাইদুর রহমান।
অভিযুক্ত বিএনপির নেতা মকছেদ আলী মঙ্গলীয়া জবাব দেন, 'কড়াই বিল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বিরল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম অরু। আর আমি সহ-সভাপতি। ৫ তারিখে পট পরিবর্তনে পর সবাই আমাকে দায়িত্ব দেয় কড়াই বিলের। আমি কড়াই বিলের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। আম গাছ কেটে সেখানে লিচু গাছ লাগানো হবে। এ কারণে কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৪ লাখ ১০ টাকার টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। আমাদেরই লোক গাছগুলো কাটছে। গাছগুলোতে আম ধরে না। তাই, কাটছি। লিচু গাছ লাগাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কড়াই বিল সমবায় সমিতি লিমিটেডের এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, প্রতিবছর আমের মৌসুমে গাছগুলো এক থেকে দেড় লাখ টাকায় ডাক হয়। প্রায় এক হাজারের মতো গাছ। কিভাবে এই গাছগুলো কেটে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হলো? গাছগুলোর দাম প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা হবে। তাছাড়া আমের মৌসুমে মুকুলে ভরা গাছগুলো কিভাবে কেটে বিক্রি করে তারা! এর বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা জোর দাবি করছি। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলেই তো ফ্যাসিবাদী আখ্যা দেওয়া হয়।