এর আগে ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এই মানহানি মামলাটি (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। তখন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সোমবার (১২ আগষ্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাকে খালাসের আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এই মানহানি মামলাটি (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। তখন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদী পক্ষে মামলার কৌসুলি ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের ওই বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতিসহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে,  এতে ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার পর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন  মর্নিং পোস্টকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্ত থাকা কৌসুলির কোনো ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।