এক সাথে সুন্দরবনের দুটি বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় বন সংলগ্ন তিন টি গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ভরাট হয়ে যাওয়া ভোলা নদী পার হয়ে বুধবার রাতে যে কোন সময় বাঘ দুটি সোনাতলা গ্রামের মালেক মিয়ার বাড়ি অতিক্রম করে বলে বন বিভাগ ও সিপিজি সদস্যরা জানিয়েছে। তবে বাঘ দুটি রাতেই বনে ফিরে গেছে বলে বন বিভাগের ধারনা।

 লোকায় বাঘ ঢুকে পড়ার খবরে বন সংলগ্ন সোনাতলা, ঢালীর ঘোপ ও রসুলপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বন বিভাগ, সিপিজি ও টাইগার রেসপন্স টীমের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঐ এলাকায় সতর্ক অবস্থায় পাহাড়া দিচ্ছে। গ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সিপিজি সদস্য ইয়াসিন হাওলাদার ও আছাদ হাওলাদার জানান, বুধবার রাতে যে কোন সময় ভোলানদী সাতরিয়ে বাঘটি সোনাতলা গ্রামের মালেক মিয়ার বাড়ি থেকে উঠে এসে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসী বাঘের বেশ কিছু পায়ের ছাপ দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে। তারা দ্রুত বন বিভাগ ও কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপকে খবর দেয়। তারা জনগনকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করে।

 সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দাসের ভাড়ানী টহল ফাঁড়ির ওসি আক্তারুজ্জামান সোহেল জানান, সোনাতলা মালেক মিয়ার বাড়ির উঠান ও বাগানে বাঘের বেশ কিছু পায়ের ছাপ দেখে আমরা সুন্দরবনের বাঘ লোকালয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হই। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন সুন্দরবনের দুটি বাঘ লোকালয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাঘের পায়ের ছাপের তারতম্য ও গতিপথ পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, বুধবার রাতের যেকোন সময় বন থেকে দুটি বাঘ ঘন কুয়াশায় পথ ভুলে লোকালয়ে চলে আসে। ভুল বুঝতে পেরে ঐ রাতেই বাঘ দুটি বনে ফিরে এসেছে বলে পায়ের ছাপ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আতংকিত না হয়ে গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।