রোববার ( ৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া আলী আকরব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চারতলা ভবনের দুই শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। তৃতীয় তলায় একটি ফ্লাটে থাকনে পারমিতা । তিনি আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্বামী সুজন শীল বরিশাল বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক। তিনি বরিশালে থাকেন।

পটুয়াখালীর বাউফলে দিনে-দুপুরে একই ভবনে দুই স্কুল শিক্ষিকার  বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাসাগুলোতে লোকজন না থাকার সুযোগে দরজার তালা ভেঙে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা, ব্যাংকের চেক সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

রোববার ( ৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া আলী আকরব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চারতলা ভবনের দুই শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।  তৃতীয় তলায় একটি ফ্লাটে থাকনে  পারমিতা । তিনি আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।  তার স্বামী সুজন শীল বরিশাল বিএম কলেজের  ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক। তিনি বরিশালে থাকেন।

পারমিতা  জানান প্রতিদিনের মত দরজায় তালা দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে যান । দুপুরে বাসায় এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো। চোরেরা  আলমারিতে রাখা প্রায় ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ব্যাংকের চেক ও প্রায় ২লাখ টাকা নিয়ে গেছে। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকেন কর্পূরকাঠি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক বিউটি ওঝা। তার স্বামী আশিস মজুমদার দশমিনা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরির্দশক। ঘটনার দিন সকালে দুজন কর্মস্থলে চলে যান।  ওই বাসারও তালা ভেঙে  প্রায় ২ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২০ হাজার টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

আশিস মজুমদার বলেন,‘ আমরা স্বামী-স্ত্রী কর্মস্থলে ছিলাম। বাসা তালা দেওয়া ছিল। দিনে- দুপুরে তালা কেটে ও ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এটা দুঃসাহসিক কাজ।  চুরির রহস্য উদঘটনের জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ।এদিকে জনবহুল এলাকায় দিনেদুপুরে একটি ভবনের দুইটি বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় পাশের বাড়ি ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে  পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও  আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন,‘ আশপাশে অনেক বাসা-বাড়ি। যে ভবনে চুরি হয়েছে সে ভবনেও অনেক পরিবার থাকে। তার মধ্যে দুইটি বাসার তালা ভেঙে চুরির ঘটনা দুঃসাহসিক । পুলিশের অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান  তিনি।

ভবনের মালিক মিজানুর রহমান ওরফে জুলাস সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তিনি এখন কুয়েত প্রবাসী। তার  স্ত্রী  সালমা আক্তার বলেন,‘ আমি গ্রামের বাড়িতে থাকি। ঘটনা শুনে বাসায় গিয়েছি।  ভাড়াটিয়াদের পুলিশের কাছে যেতে বলেছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,‘  ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। ওই বাসায় সিসি টিভি ছিল না। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে