গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন বাজারে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জামাতের যুব বিভাগের ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সেক্রেটারি মোঃ মিলন মিয়া ও জামায়েতে ইসলামির কর্মী আবু হানিফ মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনায় আহত মিলন মিয়া জানান -তিনি প্রতিদিনের ন্যায় তার সারের দোকানে বসে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন।ইফতারের পর এশার আজানের পূর্বে দেওডোবা  মৌজার শুটকু মিয়ার বড় ছেলে বাবু মিয়া(৩৫) ১০-১২ জনকে সাথে নিয়ে তার উপর অতর্কিত  হামলা চালায় এবং দোকান ভাংচুর করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।একই সময়ে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়েত ইসলামের কর্মী মোঃ আবু হানিফ  মিয়ার কাপড়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর সহ নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার আবু হানিফ মিয়া ও মিলন মিয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে বাবুর ছোট ভাই পিংকু মিয়ার সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়।আজ ইফতারের পূর্বে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইফতারের পর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  পরিকল্পিত ভাবে বাবু কতিপয় দুষ্কৃতকারীকে সাথে নিয়ে আবু হানিফ ও মিলন মিয়ার দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে বাজারে অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান।আসন্ন ঈদের পূর্বে এ অপ্রতিকার ঘটনায় দোকান বন্ধ থাকায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে এস আই মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামীর ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম ও রুকন মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।বক্তরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।