কুমিল্লার দেবিদ্বারে জুলাই আন্দোলনে সাব্বির হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাসেম ওমানী (৬০) কে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (২১ জুন) কুমিল্লা শহরের ছাতিপট্টি জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা(ডিবি) পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছে।
আবুল কাসেম ওমানীকে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা(ডিবি) পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ।
আবুল কাসেম ওমানী দেবিদ্বার পৌর এলাকার দেবিদ্বার গ্রামের মৃতঃ মহব্বত আলীর পুত্র। সে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেরা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২৪শে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামী। সে ৪ ও ৫ আগস্টে ছত্রজনতা উপর আক্রমণ করার নির্দেশ ও পরিচালনা কারী বলেও জানা যায়।
গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উল্লসিত জনতা থানা ঘেড়াও করতে গেলে অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলাম সাব্বির(১৭) পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন।
পরবর্তীতে দীর্ঘ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির মারা যান। অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলাম সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃতঃ আলমগীর হোসেনের পুত্র।
ওই ঘটনায় দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃতঃ রবিস আলীর পুত্র ও নিহত সাব্বিরের মামা মো. নাজমুল হক বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে ৯৯ জনকে এজহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনসহ ২৪৯ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১/১৬০, তারিখ- ১৪/০৯/২০২৫ইং।
ওই হত্যা মামলার ৫ নং এজহারভূক্ত আসামী হাজী মো. আবুল কাসেম ওমানী। তিনি উপজেলার একজন প্রভাবশালি নেতা এবং সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
এ ব্যপারে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা সংস্থা(ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল্লাহর সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, গোপন সংবাদে ডিবি পুলিশের একটি দল কুমিল্লা শহর থেকে তাকে আটক করেছে। আবুল কাসেম ওমানী ছাব্বির হত্যা মামলার ৫ নং এজহারভুক্ত আসামী।