চৌধুরী টাওয়ারের দক্ষিণ প্রবেশদ্বারের নিচতলায় অবস্থিত "বিসমিল্লাহ কনফেকশনারি"-এর মালিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তার দোকানে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

চৌধুরী টাওয়ারের দক্ষিণ প্রবেশদ্বারের নিচতলায় অবস্থিত "বিসমিল্লাহ কনফেকশনারি"-এর মালিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তার দোকানে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সমাজের তরুণদের ধূমপানসহ ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।  মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, "আমার দোকানের সামনে অনেক ছোট বাচ্চা ও কিশোর সিগারেট কিনে ধূমপান করত। এটি তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধূমপানই নেশার প্রথম ধাপ, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি চাই না, আমাদের সমাজে কিশোর গ্যাং তৈরি হোক কিংবা তরুণরা মাদকের পথে ধাবিত হোক। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার দোকান থেকে সিগারেট বিক্রি বন্ধ থাকবে।"  এলাকার সচেতন নাগরিক শাকিল চৌধুরী মঞ্জুরুল ইসলামের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "তিনি একটি সাহসী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের সমাজের তরুণরা যাতে নেশার পথে না যায়, সেটিই আমরা সবাই চাই। তার এই সিদ্ধান্ত অন্য ব্যবসায়ীদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।"   বর্তমানে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে ধূমপান ও নেশার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পারিবারিক নজরদারি কমে যাওয়া, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব এবং কিশোর গ্যাং সংস্কৃতির বিস্তার এ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা যদি মঞ্জুরুল ইসলামের মতো নৈতিক দায়িত্ববোধ দেখান, তাহলে তরুণ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।  এ ধরনের উদ্যোগ কেবল ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং সমাজের সচেতন ব্যক্তিরাও এমন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, যাতে একটি সুন্দর, নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।