ঢাকার দোহার উপজেলায় রাস্তা আটকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে ভুক্তভোগীরা প্রাণনাশের আতঙ্কে রয়েছেন

ঢাকার দোহার উপজেলায় রাস্তা আটকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে ভুক্তভোগীরা প্রাণনাশের আতঙ্কে রয়েছেন। 
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বেগম আয়েশা শপিং মলের দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আমেনা বেগম ও তার পরিবার অভিযোগ তুলে ধরেন।
আমেনা বেগম বলেন, "আমরা যাদের থাকতে দিয়েছি, আজ তারাই আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে আমাদের প্রাণনাশের পরিকল্পনা করছে।"
তিনি আরও জানান, "আমার বাবা ১৯২৮ সালে মালঞ্চের কাছ থেকে ৪১৯ দাগে ১১ শতাংশ ও ১৯৩১ সালে ইব্রাহিমের কাছ থেকে ৪৮ দাগে ৭ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেন। আমরা দলিল অনুযায়ী জমি ক্রয়ের পর থেকেই ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ শেখ মনির ও শেখ জাহিদুল জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে গাইড ওয়াল ও কাঁটাতার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।"
এ ঘটনায় দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ মার্চ ভোরে ভুক্তভোগী আমেনার বোন ঝর্ণাকে শেখ মনির গং মারধর করে আহত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী ঝর্ণা আক্তার বলেন, "আমি ডায়াবেটিস রোগী, প্রতিদিন আমাকে দুইবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার বিচার চাই।"
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনিরের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, "আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এখন জানতে পারলাম, ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নিয়েছি। যেহেতু এ ঘটনায় আদালতে দেওয়ানি মামলা হয়েছে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"