সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার)-এ সারাদেশে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ, ৯ই মার্চ ২০২৫, রোজ রবিবার বাদ যোহর দুপুর দেড়টায় এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিটারের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং সরকারের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। নিটারের শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রতিকারও চান। তাদের মতে, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ধর্ষণের মতো কলঙ্কজনক অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এলেও কেউ এই ভয়াবহ অপরাধ বন্ধ করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এবার তারা শুধু ধর্ষণের নিন্দা জানিয়ে থামতে চান না, তারা ধর্ষণের মূল উৎপাটন চান। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ধর্ষকদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যা দেখে ভবিষ্যতে কেউ এই জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়। শুধু আইনের কঠোরতা বাড়ালেই চলবে না, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে কেবল উন্নয়নের বুলি আওড়ানোর কারণে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় বেড়ে গেছে। এই অবক্ষয় রোধ করতে হলে পরিবার ও সমাজকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা অবাধ অশ্লীলতার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। পর্নোগ্রাফি বন্ধের দাবিতে বারবার আওয়াজ উঠলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। পর্নোগ্রাফি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি অশ্লীল চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ ও অন্যান্য অশালীন কনটেন্ট তৈরি বন্ধ করার দাবি তোলেন তারা। পাশাপাশি, খোলামেলা ও অশ্লীল পোস্টার ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণের ওপরও গুরুত্ব দেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিটারের শিক্ষার্থীরা নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানান দেন। তারা স্পষ্টভাবে বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং তারা সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।