নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন চরকাজী মোখলেছ গ্রামে রাতের বেলা ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪) দিবাগত রাত অনুমান ২টার দিকে উপজেলার চরকাজী মোখলেছ গ্রামের জনৈকদিনমজুরের নতুন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে তিনজন ব্যক্তি দিন জনৈক দিনমজুর বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তাহার নতুন বাড়ীর বসত ঘরে তিনজন ব্যক্তি তাহার রাতের আধারে ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ডুকে অজ্ঞাত দুইজন ব্যাক্ত গৃহবধূকে (২৯) গণধর্ষণ করে ও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মেয়ে (১২)’কে ধর্ষণ করে। ঐসময় তাদের ঘর থেকে অনুমান ১ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ১৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী ও নির্যাতিত শিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করে একজন দিনমজুর। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতে তিনি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গা কাজ করতে গেলে২-৩ দিন পর বাড়ি ফিরে আসতেন ওই দিনমজুর। গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়ির বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে তিন মেয়েকে নিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুইজন ভিতরে প্রবেশ করে।
এদের মধ্যে দুজন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে এবং একজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয় এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।এই বিষয়ে চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে আমাদেরকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পোঁছায় এবং ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াওভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।