এ ঘটনার পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে ৭ জুলাই ধামরাই থানায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ৮দিন পার হলেও অভিযুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সুবিচার নিয়ে শংকা প্রকাশ করে হতাশায় ভুগছেন নিহতের পরিবার। নিহত ফজু আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের মৃত মুনতাজ উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।

রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠে ধামরাইয়ের নান্দেশ^রী এলাকায় ব্যাটারী চুরির অপবাবাদে ফজলুর রহমান (ফজু-৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও বিদ্যুতের শর্ট দিয়ে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে ৭ জুলাই ধামরাই থানায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ৮দিন পার হলেও অভিযুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সুবিচার নিয়ে শংকা প্রকাশ করে হতাশায় ভুগছেন নিহতের পরিবার। নিহত ফজু আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের মৃত মুনতাজ উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।

অভিযুক্তরা হচ্ছে  আমতা ইউপি সদস্য মো.আলকেছ আলী, মো.মীর হোসেন, আলতাপ হোসেন, আলামিন,ছোট আলামিন, আইয়ুব আলী, রতন আলী ও শফিকুল ইসলাম। অভিযুক্ত আসামীরা সবাই ইট ভাটার মাটি ব্যবসায়ী।ভুক্তভুগি পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে আলকেছ মেম্বার গংদের মাটি কাটা ভেকু মেশিন শুন্য চকে রেখে বাড়ি যান সবাই।

পরদিন সকালে দেখেন ওই ভেকু মেশিনের ব্যাটারী খানা নেই, চুরি হয়ে গেছে। বাউখন্ড গ্রামের চিহ্নিত ব্যাটারী চোর আ.মান্নান নামে যুবক চুরির দায়ে আটকের খবর জৈনেক ব্যাক্তি টেলিফোনে জানায় আশরাফ মেম্বারকে। আশরাফ মেম্বার ওই ঘটনা জানিয়ে দেয় আলকেছ মেম্বারকে। আলকেছ মেম্বার তার দলবল নিয়ে ব্যাটারীসহ মান্নানকে তাদের জিম্মায় নিয়ে আসে। মান্নানের দেয়া তথ্য মতে ফজুকে খুজতে থাকে তারা।

৬ জুলাই শনিবার দুপুরে উপজেলার বাউখন্ড গাজী কালুর আস্তানার পাশে বসে ছিলেন ফজু। হঠাৎ ৪/৫টা মোটর সাইকেল নিয়ে ৮/১০ জনের সংঘবদ্ধ দুবৃত্তরা তাকে আক্রমন করে। মাটি কাটার ভেকু মেীশন (এক্সেভেটর) মেশিনের ব্যাটারী চুরির অভিযোগে মারধোর শুরু করে তারা।  স্থানীয়দের আপত্তির মুখে ফজুকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায় নান্দেশ্বরী মাদ্রাসা এলাকায় আলামিন হোসেনের অফিস কক্ষে। সেখানে নিয়ে হাত-পা বেধে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও হার ভেঙ্গে ফেলা হয়।

বিদ্যুতের শর্ট দিয়ে পুরো শরীর নাজেহাল করে দুবৃত্তরা মিলে।এরপর মুমুর্ষো অবস্থায় জৈনেক দালাল আশরাফুল ইসলাম নামে ইউপি সদস্যকে দিয়ে ভ্যান যোগে ফজুকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।এদিকে মুমুর্ষো  অবস্থায় ফজু নিথর দেহ বাড়িতে পৌছালে জরো হয় পাড়া প্রতিবেশি। কিছক্ষনের মধ্যে ফজুর প্রচÐ বমি শুরু হয়। তার শরীরের  অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ফজুর মা বোন। এর প্রায় আধ ঘন্টার মধ্যে ফজু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নিহতের মা আছিয়া বেগম কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, ৮দিন পার হলেও খুনীরা কেউ গ্রেফতার হলো না। বরং দুএক জনকে পাঠিয়ে খুনীরা আপোশের প্রস্তাব দিচ্ছে। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতারসহ ফাসি দাবী জানান তিনি।বাবা হত্যার কঠোর বিচার দাবী করে ফজুর একমাত্র কন্যা ফরিদা আক্তার বলেন,খুনীরা সবাই অনেক প্রভাবশালী পরিবারের মানুষ। তাই রহস্যজনক কারনে ৮দিনেও ধরা পড়ছে না। আদৌ বিচার পাবো কিনা আল্লাহই জানে।

খুনীদের এমন শাস্তি চাই যেন, এভাবে নির্যাতনে আমার মতো আর কেউ বাবা না হারায়।এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার এসআই আশরাফ বলেন, ফজু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।খবর পাওয়া মাত্র আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে।তাই একটু হময় লাগছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টায় অভিযান অব্যহত আছে।খুব শীগ্রই আসামীরা গ্রেফতার হবে বলে আশা করছেন তিনি