নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশরা চাকুরী জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা এই কর্মসূচীর নাম দিয়েছেন কলম বিরতি।নকল নবিশ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা ও নির্দেশনা মোতাবেক ( ১৯ অক্টোবর ) সকাল থেকে আত্রাই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে কর্মবিরতের ব্যানার ঝুলিয়ে নকল নবিশরা কর্মবিরতি পালন করেন। আত্রাই উপজেলা নকল নবিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো.ফরাদুজ্জামান বলেন, নকল নবিশরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনসেবার কাজ করি আমরা অথচ আমাদের কে সরকারের কোষাগার থেকে কোন বেতন ভাতা দেওয়া হয় না।আমাদের জাতীয়করণ করা হলে রাষ্ট্রকে আমারা যে টাকা আয় করে দেই সেই অর্থ থেকেই আমাদের বেতন দেওয়া সম্ভব অন্য কোন রাজস্ব খাত থেকে আমাদের এক টাকা ও দিতে হবে না। এমনকি নিজেদের টাকা দিয়ে কাগজ কলম কিনে কাজ করতে হয় আমাদের।তিনি আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নামি।তখন ফ্যাসিস্ট সরকারের আইনমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছিল আপনারা ঘরে ফিরে যান। আপনাদের সকল দাবী দাওয়া এমনকি জাতীয়করণের দাবি মেনে নেওয়া হবে। আমরা যখন ঘরে ফিরে যাই তখন ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের দাবি উপেক্ষা করেছে আমরা এ মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও বৈষম্যের তীব্র নিন্দা জানাই।আমরা দলিলের নকল লেখা বাবদ বর্তমানে প্রতি পৃষ্টা ৩৬ টাকা হারে পাই। এতে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় হয়, যা একজন নকল নবিশের সংসার চালানোর জন্য অতিনগন্য। অথচ আমরাই এই অফিসের মূল চালিকা শক্তি।নকল নবিশ সদস্য মো.ময়নুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চাকরি স্থায়ী করণের (জাতীয় করণের) দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কর্মবিরতি পালন করেছি কয়েক বার। তৎকালীন সরকারের আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলাম।কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক সমাধান না হওয়ায় আবার কর্মবিরতি শুরু করেছি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আমাদের এই দাবি মানা না হলে আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামবো।আত্রাই উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে দেখা গিয়েছে নকল নবিশরা কেউই কোন কাজ করছেন না। তারা যথারীতি ব্যানার ঝুলিয়ে তাদের কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।নারী নকল নবিশ সদস্য রাবিয়া সুলতানা বলেন, এই রেজিস্ট্রি অফিসে আমরাই মূল কাজগুলো করে থাকি বিশেষ করে কলম যোদ্ধা ও বলতে পারেন কিন্তু আমরা রাষ্ট্রের কোন সুযোগ সুবিধা পাই না।এমনকি নারী হিসেবে আমাদের মাতৃকালীন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এর কাছে এই বৈষম্যের বিলোপ চাই এবং এক দফা দাবি জাতীয়করণ চাই।