সম্প্রতি সদ্য প্রকাশিত হওয়া লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক দলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন কমিটিতে আর্থিক লেনদেন ও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ফেসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল
সরজমিনে ষঘুরে জানা গিয়েছে, লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক দলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সভাপতির পদ আলাউদ্দিনের চেরাগের মত সৌদি বসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছেন। সৌদিতে অবৈধ ব্যবসা করে বনে যাওয়া হালনা গ্ৰামের গোলাম হায়দার শেখের ছেলে হুমায়ূন শেখ।
এই হুমায়ূন শেখ এলাকায় পরিচিত এমপি মাশরাফির অর্থদাতা হিসেবে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে, এমপি মাশরাফির লিফলেট প্রিন্টে হুমায়ুন কবিরের নাম স্পষ্ট লেখা দেখা যায়।
যে ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াচ্ছে। জনশ্রুতিতে শোনা যায় সৌদিতে হুমায়ূন এর আছে বিশাল অবৈধ সিন্ডিকেটের ব্যবসা। মানিকগঞ্জ বাজারের খায়ের মার্কেট দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি ক্রয় করেছেন দুই মাস আগে নিজ নামে।
লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক দলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক পদটি ও আর্থিক লেনদেন করে ক্রয় করেছেন। শামুকখোলা গ্ৰামের ওহাব মোল্লার ছেলে ফরহাদ মোল্লা। এই ফরহাদ মোল্লা বিগত দিনে এমপি মাশরাফির শশুর রোম মিয়ার ডানহাত ছিলেন বলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায়। রোম মিয়ার সকল মিছিল মিটিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ফরহাদ মোল্লা।
লোহাগড়া উপজেলার শ্রমিক দলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন শাখার কমিটিতে আওয়ামী লীগের পেতাত্ত্বা দিয়ে কমিটি গঠন করায় বিক্ষিপ্ত দীর্ঘদিনের হামলা মামলা স্বীকার ও ত্যাগী বিএনপি নেতা কর্মীরা। বিএনপির নেতা কর্মীরা আরও বলেন বিগত আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক দলের নেতা কর্মীরা সংগঠনের ব্যানার বা ফিস্টলে কোন মিছিল মিটিং করে নাই। গত ৫ ই আগস্টের পর তারা এই সংগঠন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ তাল বাহানা করছে এবং টাকার বিনিময়ে পদ পদবি আওয়ামীলীগ পরিবারের কাছে বিক্রি করছে।
উক্ত বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক আক্তার হোসেনের সাথে প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন হুমায়ূন আমাদের বিভিন্ন সময় দলীয় মিছিল মিটিংয়ে টাকা দিয়ে সাহায্য করে। আমরা মিটিং করে এই কমিটি করেছি।