২০০৩ সালে লোহাগড়া পৌরসভা বাস্তবায়ন হলে ও দীর্ঘ ২২ বছরে ও সম্ভাব হলো না লোহাগড়া পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের কাজ । ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি জেনেও লোহাগড়া পৌরসভার যত তএ আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে লোহাগড়ার বাজারের মাংস এবং মাছ বাজার সংলগ্ন যে পরিত্যক্ত নদী ছিল সেই জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করায় । ময়লা আবর্জনার ভয়ানক স্তূপে পরিণত হয়েছে লোহাগড়া পৌরসভার একমাত্র জনবহুল মাংস ও মাছ বাজার এলাকা । মাংস বাজার এখানকার বাতাস পরিণত হয়েছে বিষাক্ত দুর্গন্ধে । নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে উৎকট গন্ধে । মাংস বাজারের পাশ দিয়ে জয়পুর ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের যে পথটি ছিল সেটিও ময়লা আবর্জনা ফেলে এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মাংস বিক্রেতা মাংস বিক্রি করার চৌকি ফেলে বন্ধ করে রেখেছেন দুর্গন্ধের এই ভয়াবহতা যেনো হাঁটি হাঁটি পা পা করে লোহাগড়া পৌর কার্যালয় লক্ষীপাশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। লক্ষ্মীপাশা ব্রিজের দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন ডান হাতের যে রাস্তাটি লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পাশ দিয়ে ভূমি অফিসের দিকে ধাবিত হয়েছে তারি কূল ঘেঁষা নবগঙ্গা নদীর কালি বাড়ি ঘাট এলাকার নদীর পাড়ে ফেলছে গৃহস্থালি , ক্লিনিক,দোকান , হোটেল সহ আশে পাশের ময়লা আবর্জনা । এতে করে চরম ভাবে দূষিত হচ্ছে নবগঙ্গা নদীর পানি । লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্র-ছাত্রী , অসুস্থ রুগী, ভূমি অফিস , খাদ্য গুদাম ও কালি বাড়ি মন্দিরে আসা দর্শনার্থী সহ এলাকার প্রতিটি জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট বিষয় অবগত আছেন। সিয়াম সাধনার মাসে রোজাদার ব্যাক্তি যেনো নাক চেঁপে দূগন্ধ প্রবণ এলাকা ত্যাগ করতে পারলে দীর্ঘ নিঃশ্বাসের স্বস্তি পায় । লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের নাকের ডগায় এহেন পরিস্থিতিতে লোহাগড়া পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের নেই কোন মাথাব্যথা।