এছাড়াও দুই তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে এপ্রকোপ আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন মজুর অনেকের সাথে কথা হলে তারা বেশীরভাগিই বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বৃদ্ধিতে আমরা এখন আমাদের সংসারের খরচ যোগাতে পারছি না, এতে করে আমরা অনেকই ঋন গ্রস্ত হয়ে পড়ছি। দিন মজুর আকরাম নামে একজন সেলুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আমার সংসারে ৬ জন সদস্যসহ বাবা মা নিয়ে এবং সন্তাদের লেখাপড়ার খরচসহ প্রতি মাসে যে খরচ হচ্ছে তা যোগার করতে আমি দুই একটা স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়েছি,এই ঋনের টাকা পরিশোধের সাপ্তাহিক কিস্তি আমি দিতে পারছি না এর উপর মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে ওঠেছে বাজারে সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে।
স্থানীয় কিছু এনজিওর সাথে কথা হলে তারাও বলেন, আমাদের এনজিও গুলোতে হঠাৎ করেই ঋন নেওয়ার জন্য অনেকাংশে সাধারন মানুষ অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছে, এতে করে বোঝা যায় সাধারন মানুষ অনেক কষ্টে দিনযাপন করছে। সরোজমিনে কুষ্টিয়ার স্থানীয় হরিনারয়নপুর বাজারে বাজার তদারকির জন্য গেলে দেখা যায় সপ্তাহের ব্যবধানে এই বাজারে চাউল,সবজি,ডিম, ডাউল,মাংস সব জিনিসের দামই উর্দ্ধোমুখী,বাজারে মোটা চাউল ব্রিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫,চিকন চাউল ব্রিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। মাছের দামও অনেক চড়া স্থানীয় হরিনারয়নপুর বাজারে ১৭০ টাকা কেজির নিচে কোন মাছই পাওয়া যাচ্ছে না।
ডিম ব্রিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা হালিতে, এছাড়া স্থানীয় বাজারে খাসির মাংস ব্রিক্রি হচ্ছে, ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে, এছাড়াও ব্রয়লার মুরগী ব্রিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, অনেক ব্যবসায়ী নিজের ইচ্ছা মতোই অনেক জিনিসের দাম বৃদ্ধি করছে। এতে করে অনেকেই অনেক দোকানীর সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। তাই এই ব্যাপারে বাজারের কিছু ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে, অনেকেই জানান সরকার পর্যায় থেকে নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।