মারিয়াস বর্গ হোইবি, যিনি রাজকুমারী মেট্টে-মারিতের রাজপুত্র হকনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগের এক সম্পর্ক থেকে জন্মগ্রহণ করেন, তাকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এক প্রেমিকাকে মারধরের সন্দেহে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে।
চারটি ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও, অভিযোগপত্রে রয়েছে এক সাবেক সঙ্গীর প্রতি গার্হস্থ্য সহিংসতা, একাধিক সহিংস আচরণ, জনশান্তি বিঘ্নিত করা, ভাঙচুর এবং আরেক সাবেক সঙ্গীর বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ।
তিনি একাধিক নারীর গোপনাঙ্গ গোপনে এবং তাদের অজান্তে ভিডিও করার অভিযোগেও অভিযুক্ত বলে জানান সরকারি কৌঁসুলি স্টারলা হেনরিক্সবো।
তিনি বলেন, “অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অপরাধগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।”
“এই অপরাধগুলো অত্যন্ত গুরুতর, যা মানুষের জীবনে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে এবং জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে,” বলেন প্রসিকিউটর।
তিনি আরও বলেন, “মারিয়াস বর্গ হোইবি রাজপরিবারের সদস্য হলেও, সেটি তার প্রতি বিচার ব্যবস্থায় বেশি নমনীয়তা বা কঠোরতা দেখানোর কোনো কারণ হতে পারে না।”
হোইবির বিরুদ্ধে যেসব ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো ২০১৮, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে —এর মধ্যে সর্বশেষটি পুলিশের তদন্ত শুরু হওয়ার পর।
২০২৪ সালের আগস্টে যার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই ঘটনার সহিংসতা ও ভাঙচুরের দায় হোইবি ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারের ১০ দিন পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি “মদ ও কোকেনের প্রভাবে এক তর্কাতর্কির পর ওই কাজ করেছিলেন”, এবং দীর্ঘদিন ধরে “মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন” ও “মাদকাসক্তির সঙ্গে লড়াই করছিলেন”।
মাত্র চার বছর বয়সে হোইবি জনদৃষ্টিতে আসেন, যখন তার মা নরওয়ের রাজপুত্রকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে এই দম্পতির আরও দুটি সন্তান হয়।
রাজকন্যা ইনগ্রিড আলেক্সান্দ্রা (২১) এবং রাজপুত্র সভেরে ম্যাগনাস (১৯)-এর সঙ্গে হোইবি একসঙ্গে বড় হয়েছেন।
তবে তাদের মতো হোইবির কোনো সরকারি বা জনসেবামূলক দায়িত্ব নেই।