শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টায় শহরের বড় বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। চাঁদা না দিলে হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধরের শিকার হতে হচ্ছে বলে দাবি তাদের। বক্তারা এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন—এই সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। সেইসাথে ব্যবসায়ী নেতারা বাজারের প্রতিটি দোকানে একটি করে বাঁশি ও লাঠি রাখার নির্দেশ দেন, যেন যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার সময় তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়া সম্ভব হয়।
নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহেনশাহ্ শানু, বাজার বণিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মোতালিব ভূইয়া, পরিচালক আসলাম ভূঁইয়া, পরিচালক নওশের মিয়া, মুরাদ হোসেন, মো. শহীদ মিয়া, শফিক মিয়া ও ফারুক আহমেদ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন নরসিংদী বাজার প্রতিরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জীবন সাহা, নরসিংদী শহর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাতবর মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা প্রমুখ।
ব্যবসায়ীদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো বাজার এলাকায় ছিল টান টান উত্তেজনা ও সচেতন উপস্থিতি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নজর রাখছে বলে জানা গেছে।