সোমবার (১০ অক্টোবর )বেলা ১২টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, ওই নবজাতকের মায়ের পরিচয় জানাজানি হয়। নানা কর্তৃক ধর্ষণের শিকারে স্কুলছাত্রী (১৩) গর্ভবর্তী হয়। বিষয়টি ধামাপাচা দিতে পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। কিন্তু নবজাতক এভাবে জীবিত ফেলে দেওয়ায় আবারো লোকমুখে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাচ্চাটি কার এবং কেনো ফেলে গেলো চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অনুসন্ধান করে র্যাব-১২। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ধারা- ৯ (১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)।
উল্লেখ্য, গত (৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার সদর থানাধীন দহকুলা এলাকার তেকনাপাড়া গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে এক নবজাতক শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুটিকে গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে নবজাতকের মায়ের পরিচয় এলাকায় জানাজানি হয়। ওই গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে তার দূর সম্পর্কের নানা ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত (০৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে এবং নবজাতককে ধর্ষকের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।