ওই ঘরে কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হননি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের ফ্ল্যাটেরও দরজা, দেয়াল ভেঙে গেছে ও আসবাবপত্র সব চুরমার হয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ ৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার (১২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের হোসাইনী নগর এলাকার লক্ষ্মী নিবাস নামে আবাসিক ভবনটির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- হোসাইনী নগর এলাকার লোকমানের ছেলে সবুজ খন্দকার (২৬), মো. রানা (২৮) ও তার স্ত্রী বিথী (১৯), আবুল কালাম (৬০) এবং মোঃ রুবেল (২৮) দগ্ধ সবুজের মামা খলিল শিকদার বলেন, ‘তার ভাগ্নে সবুজ ও সবুজের হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক রানা, বিথী ও তাদের শিশু সন্তান ওই ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন।

দগ্ধ অবস্থায় তাদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।’ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতরাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে চারজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবুজ শতকরা ৫৫%, বিথী আক্তার শতকরা ৩৫%, মোঃ রানা শতকরা ১২%, এবং মোঃ রুবেল ফেসিয়াল বার্ন হয়েছেন। তাদের সবাইকেই অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘ফ্ল্যাটের ভেতরে জমা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

ফ্ল্যাটের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার ও তিতাস গ্যাসের লাইন দুটিই রয়েছে। কোনো লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে তদন্তের পর তা নিশ্চিত করে বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘ভবনটির পঞ্চম তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটটিতে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে গেছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালটি ভেঙে পাশের একটি টিনশেড ঘরের ওপর পড়েছে। ওই ঘরে কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হননি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের ফ্ল্যাটেরও দরজা, দেয়াল ভেঙে গেছে ও আসবাবপত্র সব চুরমার হয়ে গেছে।