শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের তিনটি মিটারে দেড় লাখের বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায়, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গত সোমবার বিকেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর থেকে তিন দিন যাবৎ ভোগান্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বাজার ও সড়ক।
বিদ্যুৎ বিভাগ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নন্নী বাজার ও বাজার সংলগ্ন সড়কের দুপাশে থাকা প্রায় ৩০টি এলইডি সড়ক বাতির তিনটি মিটারে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। পরে গত তিন মাসে পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশেও কোনো কাজ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয় বিদ্যুৎ বিভাগ।পরে গত সোমবার বিকেলে নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের তিনটি মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘২০২১ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক চেয়ারম্যান রিটন সাহেবের মেয়াদে বকেয়া থাকা তিন লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি।
এখন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল হঠাৎ করে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও আগের চেয়ারম্যানের নির্মাণ করা এলইডির সড়ক বাতি বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের অন্যতম কারণ।’তিনি আরও বলেন, ‘বাজার থেকে কর আদায় করে এক সপ্তাহের মধ্যে শুধু পরিষদের ভবনের মিটারের বকেয়া বিল পরিশোধ করে দেবো। ইউএনওর সঙ্গেও কথা বলেছি, যেন সড়ক বাতিগুলো সোলার সিস্টেম করা যায়।’এ বিষয়ে নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান রিটন বলেন, ‘আমার মেয়াদে আমি কোনো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে আসিনি। শুধুমাত্র মেয়াদের শেষ মাসের বিদ্যুৎ বিল আমি পরিশোধ করে আসতে পারিনি।’
পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া বিল পরিশোধে গত তিন মাসে একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েছি ও যোগাযোগ করেছি। নিরুপায় হয়ে গত সোমবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনটি মিটারের বকেয়া বিল পরিশোধের পরই আবার সংযোগ দেওয়া হবে।’