উপজেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের জন্য তাত্ত্বিক ও প্রাকটিক্যাল ক্লাস নেওয়া হয়। সেখানে সাপ ও বন্যপ্রাণীর উপকারিতা, প্রাকৃতিক ভারসাম্যে তাদের ভূমিকা এবং সাপে কাটলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আয়োজকরা জানান, সাপ ও বন্যপ্রাণী শুধু কৃষকের সম্পদ নয়, বরং এটি প্রকৃতি ও দেশের জন্য অমূল্য সম্পদ। সংগঠনের প্রতিনিধি মোহসিন আলম রনি বলেন “সাপে কাটলে ওঝার কাছে নয়, দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় মানুষ অযথা ভয় পায়, যা দূর করতে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি।” সংগঠনের বোর্ড অফ ডিরেক্টর মোঃ জুবাইদুর রহমান মেহেদী বলেন— “বাংলাদেশের অসংখ্য জেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি নদীমাতৃক জেলা। নাসিরনগর উপজেলা হাওর অঞ্চল হওয়ায় এখানে সাপের কামড়ে মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে আমরা অজ্ঞতার কারণে অনেক বন্যপ্রাণী হত্যা করি। অথচ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সময় অজান্তেই পরিবেশের ক্ষতি করি, যেমন—প্লাস্টিক যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া। অথচ আমরা চাইলে সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে পারি।" আয়োজকরা জানিয়েছেন, নাসিরনগর উপজেলার প্রায় ২৮টি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বি এম সাইফুল ইসলাম, ফয়জুল ইসলাম সোহেল, তাহসান আরাফাত, মুনতাসির রেজা, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দসহ অন্যান্য অতিথিরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সচেতন করবে এবং প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে।