নলছিটির সুগন্ধা নদীতে ডুবে যাওয়া আদিত্য চক্রবর্তী আদির(৮) মরদেহ ৮ দিন পর সুগন্ধা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।গত ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মা ও ঠাকুমার সাথে সুগন্ধা নদীতে গঙ্গা স্নানে গিয়ে স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্তী নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়।ঘটনার পর থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোর্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য এবং স্থানীয়জনতা টানা তিন দিন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। তিন দিনেও আদিত্য'র লাশ পাওয়া না গেলে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর স্বজনসহ সুগন্ধা তীরের মানুষ মরদেহ খুঁজতে থাকে।

নলছিটির সুগন্ধা নদীতে ডুবে যাওয়া আদিত্য চক্রবর্তী আদির(৮) মরদেহ ৮ দিন পর সুগন্ধা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।গত ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টার দিকে 
মা ও ঠাকুমার সাথে সুগন্ধা নদীতে গঙ্গা স্নানে গিয়ে স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্তী নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়।ঘটনার পর থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোর্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য এবং স্থানীয়জনতা টানা তিন দিন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। তিন দিনেও আদিত্য'র লাশ পাওয়া না গেলে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর স্বজনসহ সুগন্ধা তীরের মানুষ মরদেহ খুঁজতে থাকে। 

অবশেষে গতকাল ২০ এপ্রিল শনিবার রাত ৯টার দিকে সুগন্ধা নদীর ষাটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আদির স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। লাশের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই সুগন্ধা তীরে হাজারো মানুষ জড়ো হয়। একদল মানবিক মানুষ এবং নলছিটি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ছুটে যায় ঘটনাস্থল সুগন্ধা নদীর উত্তর পাড়ে।

সেখানে উপস্থিত গৌতম ,স্বপন ও জয় সাংবাদিকদের জানান দুটি ছেলে ফেরির পল্টনে বসে মাছ ধরছিলো। তরা লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার করে দৌড়ে ছুটে যায় আমাদের কাছে। আমরা এসে মরদেহটি বাশ দিয়ে টেনে নদীর তীরে নিয়ে আসি। এবং আদির স্বজন ও পুলিশকে জানাই।পরে পুলিশ ও জনতা মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মুরাদ আলী জানান সুগন্ধা নদীতে একটি ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। ঘটনাস্থল ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাটের পশ্চিম দিকে সৈয়দ আলী হাওলাদার পিতা আফছের উদ্দিনের বাড়ির সামনের সুগন্ধা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আদিত্য চক্রবর্তীর স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মরদেহটি আদিত্য'র বলে সনাক্ত করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং রাতে আদিত্য'র স্বজনদের সাথে আমিও নলছিটি পৌর শ্মশানে উপস্থিত ছিলাম। 

আদিত্য'র জ্যাঠু (বড়ো চাচা) পলাশ চক্রবর্তী বলেন পরনের জামা প্যান্ট এবং মুখ দেখেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি ওটা আমাদের আদির মরদেহ। তিনি প্রশাসন ও স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জনান। গত আট দিন আদিকে খুঁজে পেতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ঋণ কখনও শোধ করা যাবে না। মরদেহটি ফিরে পাওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ৮দিন আগে নদীতে তলীয়ে যাওয়া আদিত্য চক্রবর্তী আদির লাশ উদ্ধারের পর আদির বাড়ির সামনের শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে মানুষের ঢল নামে। সবাই একনজর দেখার জন্যই ভীর জমায়। এসময় মানুষের কান্নায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম উঠে।


উল্লেখ্য আদিত্য চক্রবর্তী নলছিটি পৌর এলাকার আদর স্টুডিও'র ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে। সে বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র ছিলো।

ঘটনার দিন ১৩ এপ্রিল সকালে মা এবং ঠাকুমা  সাথে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা পুজো এবং গঙ্গা স্নানের জন্য নদীতে এসেছিলো। মা- ঠাকুমা পুজো ও স্নানে ব্যস্ত ছিলো। এর কোন এক সময়ে আদিত্য নদীতে পরে যায়। ঠাকুমা তাকে ধরার চেষ্টা করলেও ধরে রাখতে পারেনি। মুহূর্তেই সে নদীর তীব্র স্রোত তলিয়ে যায়।