ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম মনপুরায় বেড়িবাঁধ সংক্রান্ত ঘটনায় নিহত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদের কবর জিয়ারত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) বিকেল ৪টায় চরফ্যাশন উপজেলা থেকে স্পিডবোটযোগে মনপুরার জনতা বাজার লঞ্চঘাটে পৌঁছে তিনি নিহত রাশেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং কবর জিয়ারতের মাধ্যমে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। পরে শোকাহত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাদের হাতে নগদ আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
এসময় নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, “একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে ছাত্রদল নেতা মো. রাশেদ নির্মমভাবে খুন হন। তার মৃত্যুর পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ রাশেদের পরিবারের পাশে রয়েছি। ইতিপূর্বেও তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাশেদ হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামীসহ একাধিক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি—আসামিরা যতই প্রভাবশালী হোক, কেউই আইনের উর্ধ্বে থাকবে না।”
কবর জিয়ারত ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন: উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সামস উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম শাহীন, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, হাজীর হাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহসিন আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সাবেক যুবদল সভাপতি জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর আলম শামীমসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুরউদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের জিও ব্যাগের কাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. রাশেদকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।