নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জায়গা দখল ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালির ভোক্তভোগী জাবের ড. রফিকুল ইসলাম হিলালির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে কেন্দ্রিয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব ও দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবীর রেজভীর মাধ্যমে গত ২ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবরে লিখিত একটি অভিযোগ পিাঠিয়েছেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়  জায়গা দখল ও  হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে   জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালির ভোক্তভোগী জাবের ড. রফিকুল ইসলাম হিলালির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে কেন্দ্রিয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব ও দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবীর রেজভীর মাধ্যমে গত ২ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবরে লিখিত একটি অভিযোগ পিাঠিয়েছেন। 
অভিযোগকারী গত ২১ অক্টোবর সোমবার  নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবেও  বিষয়টি লিখিত ভাবে সাংবাদিকদের জানান। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ নেত্রকোনা জেলার  কেন্দুয়া পৌরসভাধীন টেংগুরী গ্রামের ভোক্তভোগির বাবা সৈয়দ ফজলে এলাহীর ভোগদখলে থাকা দুটি দোকান ঘর প্রায় ১২ বছর ধরে ভাড়া দিয়ে আসছে তার পরিবার।  ২০১৯ সালে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে গিয়ে তার ছেলে সৈয়দ জাবের মোহাম্মদ জানতে পারেন দিঘদাইর মৌজার বি আর এস খতিয়ন ৪৩৭ দাগনং ২১৭ তিন শতাংশ জমির মধ্য থাকা  দুইটি দোকান ঘর দখল না করলেও নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী তাঁর নামে নামজারি করে নিয়েছেন। পূর্বে রফিকুল ইসলাম হিলালী ও তার পরিবার ভোক্তভোগী  পরিবারের বাসাবাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে  সৈয়দ ফজলে এলাহীর ভগ্নিপতি উল্লেখিত সম্পত্তির ৩২শতাংশ ভুমির মধ্যে  ০.৮ শতাংশ ভূমি ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। বিক্রিত সম্পত্তির সামনের অংশে আলাদা দাগে ০.১৫০ ভুমিতে দুটি দোকান ঘর হিলালীগংদের  কাছে বিক্রি করা না হলেও তাদের নামে নামজারি করিয়ে নেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকাবাসিদের নিয়ে বার বার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবরে খারিজের আংশিক বাতিলের জন্য আবেদন করেন সৈয়দ জাবের মোহাম্মদ। পরে রফিকুল ইসলাম হিলালী তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক জামাল উদ্দিনকে দিয়ে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সৈয়দ জাবের মোহাম্মদ ও তার ভাই সৈয়দ জাকেরকে হয়রানী করার উদ্দশ্যে তার বাসা ভাংচুর মামলার আসামি করে । এমনকি শুধু কেন্দুয়া থানায় নয় বিভিন্ন থানায় তাদের নামে মামলা দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সৈয়দ জাবের মোহাম্মদ অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সংঘটনের সাথে জরিত থাকার কারণে তার সকল ব্যাবসায়ী প্রতিষ্টান আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে। তিনি স্কুল জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতিরসাথে জরিত। ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে ২০১৮ সালে দুটি গায়েবী মামলায় তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলা দুইটি এখনও বিচারাধীন এবং এতে দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছেন তিনি। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে জানান, সৈয়দ জাবের মোহাম্মদ ও তার ভাই সৈয়দ জাকের দুইজনেই আওয়ামী রাজনৈতির সাথে জড়িত তাই তাদের নামে হয়রানি মূলক মামলা হয়েছে। পূর্বে সৈয়দ জাবের বিএনপি পন্থী রাজনীতি করলেও তার ভাই আওয়ামী পন্থী রাজনীতি করতো, পরে কয়েক বছর আগে সৈয়দ জাবের আওয়ামী পন্থী রাজনীতিতে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে দুই ভাই মিলে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে, যার কারণে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে।  এছাড়া সে আমার দেড় শতাংশ জায়গা প্রায় পনেরো বছর ধরে দখল করে রেখেছে, ইতিমধ্যে দুই আড়াই বছর ধরে মামলা চলছে এই জায়গাটি নিয়ে। পূর্বে সে ছাত্রদল করা অবস্থায় সাবেক মেয়র আসাদুল হক ভূইয়ার দাপটে আমার জায়গাটি দখল করে রেখেছিল যার কারণে আমি উদ্ধার করতে পারিনি। অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দল থেকে যাচাই করে দেখবে আসলেই আমি জায়গা দখল করে রেখেছি কিনা।
জায়গা নামজারির  ব্যাপারে  সাংবাদিক ও নাট্যকার রাখাল বিশ্বাস বলেন, আমি  জাবেরের বাবা ফজলে এলাহী সাহেবের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কেন্দুয়া বাজারে গত ৩০ বছর যাবৎ ব্যাবসা করে আসছি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি ফজলে এলাহী সাহেব কে দোকানের মালিক জেনে প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে আসছি। আমার জানামতে ফজলে এলাহী সাহেব এই দোকানের মালিক। ইতিপূর্বে হিলালী সাহেব কোনদিন আমাদের কাছে এসে মালিকানা দাবি করেন নি। মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইতি মেডিক্যাল হলের মালিক  মোজাম্মেল হক বাঙ্গালী বলেন, শুধু আমি না এলাকা ও কেন্দুয়া বাজারের সকল নতুন পুরাতন দোকানদারা জানেন যে, এই দোকানের মালিক ফজলে এলাহী গং। ফজলে এলাহী গংরা যদি এই দোকান ঘরের জয়গা রফিকুল ইসলাম হিলালী সাহেবের কাছে বিক্রি না করে থাকেন আর যদি রফিকুল ইসলাম হিলালী সাহেব তার নামে নামজারি করিয়ে থাকেন তাহলে  কাজটি ঠিক করেননি। তর্কিত দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া মায়ের দোয়া কসমেটিকের মালিক সামছুউদ্দিন মিয়া বলেন, আমি প্রায় ১২ বছর ধরে ফজলে এলাহীগংদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি। দোকানের প্রতিমাসের আট হাজার টাকা করে ভাড়া আমি তাদের কাছে পরিশোধ করে আসছি। দোকান ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় এডভান্স চার লক্ষ টাকার দলিল ফজলে এলাহী সাহেবের সাথেই করেছি। আমি কেন্দুয়ার স্থায়ী বাসিন্দা আমার জানামত এই জায়গা ও দোকানের মালিক ফজলে এলাহীগং। 
তর্কিত দোকানের ভাড়াটিয়া আল বারাকাত কুকারিজ দোকানের মালিক রফিক মিয়া বলেন, আমি গত পাঁচ বছর যাবৎ এই দোকানটিতে ব্যাবসা করে আসছি। রফিকুর ইসলাম হিলালী সাহেব  দোকানের মালিক দাবি করে ভাড়ার জন্য আসেন নি। আমি প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা ফজরে এলাহী গংদের কাছেই পরিশোধ করে আসছি। রাজনৈতিক সর্র্র্ম্পিকততার  ব্যাপারে সৈয়দ জাবের বলেন, আমি কখনো বিএনপি রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। আমি আওয়ামিলীগ রাজনীতিরসাথে জরিত ছিলাম এটা একটা অপবাদ। গত ১৫ বছর আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে বিএনপির কোন নেতাইতো মাথা তুলে দাড়াঁতে পারেনি। রফিকুল ইসলাম হিলালী সাহেব নিজেওতো আওয়ামিলীগের সংসদ সদস্যদের সাথে মিশেই রাজনীতি করেছেন।