পুলিশ আরও জানায়, পরবর্তীতে তার স্ত্রী জুলেখা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ডাকাতির অস্ত্র ও মালামাল গুলো তিনি তার পিতার বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ের গাদার নিচে লুকিয়ে রেখেছেন।

নোয়াখালীতে সর্দার সহ ৭ ডাকাত গেপ্তার,অস্ত্র ও গোলাবারুদ  উদ্ধার। নোয়াখালী সদর উপজেলায় নোয়ান্নাই গ্রামে পুলিশ অভিযানচালিয়ে  অস্ত্র ও ১২ রাউন্ড গুলিসহ সাত ডাকাতকে গেপ্তার করেছে। সদর উপজেলা  চরমটুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন মহতাপুর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাত দলের সর্দারকে  গেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে, গোপন সংবাদেরভিত্তিতে রোববার উপজেলার নোয়ান্নই, বিনোদপুর ও চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের আরও ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ মহতাপুর গ্রামের মো. মনির হোসেন (৪৫) ও তার  স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৩৫), নোয়ান্নই গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (২১), আবুল কালাম (২২), রহমত উল্যা (৪৫), মো. জাবেদ (৩৮) ও জামালপুর গ্রামের মো. কামাল (৪৫)।পুলিশ জানায়, ডাকাত সর্দার মনিরকে গ্রেপ্তারের সময় ডাকাতদের পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন ডাকাতির সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ডাকাতির মালামাল তার হেফাজতে রয়েছে। মালামালগুলো তার বসতঘরের ড্রামের ভিতর রয়েছে বলে জানালেও তার ভাষ্যমতে অস্ত্র ও মালামাল পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে আসামি জানায় তার স্ত্রী মালামাল সম্পর্কে জানে।

পুলিশ আরও জানায়, পরবর্তীতে তার স্ত্রী জুলেখা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ডাকাতির অস্ত্র ও মালামাল গুলো তিনি তার পিতার বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ের গাদার নিচে লুকিয়ে রেখেছেন। তার তথ্য অনুযায়ী, একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ১২টি কার্তুজ, দুইটি চাপাতি, তিনটি লোহার কোরাবারী, একটি লোহার ছেনি, তিনটি টর্চ লাইট ও চারটি মুখোশ জব্দ করা হয়।  এই বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় ডাকাতদের আসামি করে দুইটি মামলা হয়েছে আসামিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।