নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন সংগঠন। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সোনাইমুড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ডাঃ মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে একই দিন সকালে সোনাইমুড়ী বাইপাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। 
এ সময় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক মোঃ আরিফ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাসুদের রহমান, সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সাদ্দাম পাটোয়ারী সহ অন্যান্যরা।  
এ সময় বক্তারা অনতিবিলম্বে ধর্ষণের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের শিশুটি (৭) নিজ বাড়ী থেকে তার নানির জন্য ইফতার নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মিজি বাড়ীর ফয়েজ আহমেদের ছেলে রেজাউল করিম বাদশা নাদনা বাজারে তার দোকানে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। 
রক্তাক্ত জখম অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির মা বলেন, শিশুটিকে বিকেল ৫টার দিকে তার নানির জন্য ইফতারী নিয়ে পাঠান তিনি। প্রায় ১ ঘণ্টা পরও বাড়িতে ফিরে না আসায় তিনি তাকে খুঁজতে বের হলে শিশুটিকে বাড়ির দিকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটে আসতে দেখেন তিনি। এ সময় তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিলো। তিনি শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন সকাল ৯টার দিকে শিশুটির ঘুম ভাঙার পর তাকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তার মধ্যে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। পরবর্তীতে শিশুটির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষক বাদশাকে আটক করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। 
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তখন তার শরীরে কাটা জখম দেখা যায়। এখনো সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে শিশুটির মা তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে ১ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১৪, ২৪-০৩-২৫) দায়ের করেন। পরবর্তীতে শিশুটির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষক বাদশাকে আটক করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।