বুধবার (১০ জুলাই) ভিত্তিহীন অভিযোগে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মামলার বাদী সোহেল রানা, দেবীগঞ্জ থানার ওসি ও দেবিগঞ্জ থানার এসআই মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ।
ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ সম্মেলনে বলেন, মামলার সঠিক তদন্ত না করেই আমাকে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেফতার করা হয়। আমার নামে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মামলার বাদী আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। মামলার সঠিক তদন্ত করা হোক। এই মামলায় আমার বিন্দুমাত্র কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন আমার প্রতি যে ব্যবস্থা নেবে আমি মাথা পেতে নেব।
আমি সাংবাদিকসহ উপজেলার সকল মানুষের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। দায়েরকৃত মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ৯ জুন মামলার বাদী সোহেল রানা ট্রাক্টরে করে গড়েয়া হতে ২৪৫ বস্তা চাল নিয়ে আসছিলেন। আনুমানিক দুপুর ১ থেকে ১.৩০ টার দিকে ট্রাক্টর টি নতুনহাট বাজারের কাছাকাছি গ্রামীণফোনের টাওয়ার এর কাছে আসলে হারুন অর রশিদসহ অজ্ঞাত সাতজন ট্রাক্টরটিকে আটকিয়ে চালকের গলায় ও পিঠে ড্রেগার ধরে তার হাত থেকে চাবি নিয়ে ঘটনা স্থল হতে চালের বস্তাসহ ট্রাক্টরটি ছিনতাই করে নিয়ে যান।
হারুন অর রশিদকে প্রধান আসামি ও আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী সোহেল রানা। পরে আদালতের নির্দেশে ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন এবং এসআই মাসুদ মিয়াকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন। সে মামলায় গত বুধবার (৩রা জুলাই) হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রতি উৎসাহী কার্যকলাপে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বাজারে ছোট খাটো কোন ঘটনা ঘটলেই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। এত বড় ঘটনা ঘটলো কিন্তু আমরা কিছুই জানলাম না। তারা বলেন, এই এলাকায় এরকম ধরনের কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি।দেবিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।