সোমবার ( ১ সেপ্টেম্বর ) শিক্ষার্থীর মাতা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং- নারী ও শিশু পিটিশন মোকদ্দমা নং - ১৯৩/২০২৫।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৫ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায়
মোকদ্দমার আসামী দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের অমল বৈষ্ণব এর ছেলে পিযুষ বৈষ্ণব ( ৩৬) ।
অভিযুক্ত পিযুষ বৈষ্ণব হচ্ছেন উপজেলার বাটিয়ারগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত এবং ভিকটিম এর বাড়ী একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এবং বাদীনি গরীব ও প্রতিবন্ধী এবং স্বামী সহজ সরল হওয়ায় শিক্ষার্থীকে এক বছর ধরে উত্যক্ত করিয়া আসছিল। রাস্তায় এবং স্কুলে যাওয়া আসাকালে কুৎসিত ইঙ্গিত করে আসছিল। একাকী পেলে অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীর শরীরে হাত দিতে থাকে।শিক্ষার্থীকে স্মাট ফোন,টাকা সহ প্রসাধনী দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি গ্রামের লোকজনকে জানায় ভিকটিমের পরিবার।
আরও উল্লেখ করা হয় যে, ঘটনার দিন ও তারিখে অভিযুক্ত ব্যক্তি সুযোগ বুঝে ভিকটিমের পড়ার টেবিলে একা পেয়ে বিয়ের প্রস্তাব করে এবং আমজা মাইরা ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্হানে হাত ও মুখে, গালে চুমু খেতে খেতে যৌন পীড়ন করে। মেয়ের সুর চিৎকার শুনে অন্য রুম থেকে মা এসে মেয়েকে উদ্ধার করে।
এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তি হুমকি ধমকি দিয়ে বলে যে, তুর মেয়েকে আমি যেকোনো সময় খারাপ কাজ করেই ছাড়বো। এই কথা বলে চলে যায় অভিযুক্ত পিযুষ বৈষ্ণব।
এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মাতা।
মামলাটি আমলে নিয়ে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
মামলার কপি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। মামলার কপি হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।