ইসিএ আইন লঙ্ঘন ও সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মাণ করা হয়েছে ইনানী জেটি।

ইসিএ আইন লঙ্ঘন ও সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মাণ করা হয়েছে ইনানী জেটি। এ জেটির কারণে সাগরের পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই অখন্ড সৈকত রক্ষার জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ জেটি অপসারণ করতে হবে, অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচী বাস্তবায়নে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে নামবে পরিবেশবাদীরা। ৬ নভেম্বর, বুধবার, সকাল ১১টা, কক্সবাজারের ৭ টি পরিবেশ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বক্তৃতারা এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি  এইচ এম এরশাদ।বক্তব্য রাখেন বাপা, কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক, করিম উল্লাহ কলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক  এইচ এম নজরুল ইসলাম, বেলার কক্সবাজার নেটওয়ার্ক মেম্বার, ইব্রাহিম খলিল মামুন, নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য,  শামশুল আলম শ্রাবান জাফর আলম দিদার, কক্সসীয়ান এক্সপ্রেস এর সভাপতি, ইরফান উল হাসান, পরিবেশ সংগঠক নেজাম উদ্দিন, আয়াজ রবি, দোলন ধর, রুহুল কাদের শিলু, এড আবুহেনা, এনামুল হক চৌধুরী, মো ইলিয়াস, জান্নাতুল বকেয়া নেহা, রুজি চৌধুরী।বক্তারা আরো বলেন,আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে সমুদ্রসৈকত দ্বিখণ্ডিত করে ইনানী সৈকতে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় এই জেটি নির্মাণ করা হয়। জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও তা আর অপসারণ করা হয়নি।বক্তারা বলেন, কক্সবাজার সৈকতে উচ্চ আদালতে ইসিএ ঘোষিত এলাকায় কোন ধরণের স্থাপনা না করার আদেশ থাকা সত্বেও নৌবাহিনী ২০২০ সালে নৌ মহড়ার নামে সাগরের বুক চিরে একটি দীর্ঘ জেটি স্থাপন করেছিল। পরিবেশবাদী নেতাদের প্রতিবাদের মূখে তাদের সিদ্ধান্ত ছিল- নৌ-মহড়া শেষে ঐ জেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। তবে একজন জাহাজ ব্যবসায়ী তার ব্যবসার সুবিধার্থে কৌশলে জেটিটা ভাঙতে দেয়নি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত। এটি বাংলাদেশি প্রত্যেক মানুষের গর্বের ঐতিহ্য। অথচ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এই সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করে ২০২১ সালে ইনানী সৈকতে অপরিকল্পিতভাবে একটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর থেকে এই জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক পারাপারের জন্য একজন প্রভাবশালী জাহাজ মালিককে সুযোগ দেওয়া হয়। বক্তৃতারা আজকের এই মানববন্ধন থেকে আলোচিত নৌবাহিনীর ইনানী জেটি ভেঙে ফেলার জোর দাবী জানাচ্ছি।মানববন্ধনে দেশের সাতটি পরিবেশ সংগঠন অংশনেন, যথাক্রমে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা),নদী পরিব্রাজক দল, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস), সেভ দ্যা এনভায়রনমেন্ট অব বাংলাদেশ (সেব), গ্রীন ভয়েস কক্সবাজার