নরসিংদীর পলাশে পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে একই গ্রামের এক ভাড়াটিয়া পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মা-ছেলেসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন একই গ্রামের আলামিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়ার স্ত্রী শেফালী (৩১) ও ছেলে রিয়াদ (১৯)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহত জহিরুলের নিকট থেকে সুদে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল মাসুদ মিয়া। প্রথমদিকে কিছু টাকা পরিশোধ করলেও পরে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সময়ের সাথে সাথে মূলধনসহ সুদ মিলে দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫ লাখ টাকায়। এর জেরে টাকা পরিশোধের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে জহিরুলকে বাসায় ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ২ ও ৩ নং আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামি মাসুদ মিয়াকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।