নতুন সূর্য, নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা-১৪৩২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ শুধু একটি তারিখ নয়, বরং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের উৎসব, এক অবিস্মরণীয় সাংস্কৃতিক অনুভব। প্রতিবারের মতো এবারও ১৪ বৈশাখ বরেন্দ্রর সবুজ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বর্ণিল প্রাণের মেলা। এখানে নববর্ষ মানে কেবল বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো নয়-এটি সময়কে বরণ করার, শেকড়ে ফিরে তাকানোর এবং ভবিষ্যতের পথে দৃপ্ত পদক্ষেপ রাখার প্রতীক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি ছাত্রসংগঠন, এমনকি শিক্ষকদের মধ্যেও থাকে বৈশাখের এক নির্মল মিলনমেলা। ঐতিহ্যবাহী পোশাকের বাহার, মুখরোচক বৈশাখী খাবার, আর আবহমান বাংলা গানের সুরে গমগম করে গোটা ক্যাম্পাস। মঞ্চে উঠে আসে বর্ষবরণ নাটক, আবৃত্তি, নাচ, আর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ যেন হয়ে ওঠে এক জীবন্ত চিত্রকল্প-যেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে গায় মানবতার গান।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখ তাই শুধু উৎসব নয়, এটি এক চেতনার জাগরণ। এখানে নববর্ষ মানে হলো শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্নে চোখে দীপ্তি, এবং ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের প্রত্যয়। পহেলা বৈশাখ ১৪৩২-এ বরেন্দ্র পরিবারের প্রতিটি সদস্য মিলে আমরা অঙ্গীকার করি—জ্ঞান, সংস্কৃতি ও মানবিকতার পতাকা উঁচিয়ে ধরব আরও শক্তভাবে।
এই নতুন বছরে আমাদের প্রার্থনা-বরেন্দ্রর প্রতিটি হৃদয়ে জাগুক শান্তির আলো, প্রতিটি চিন্তায় ফুটুক প্রগতির বীজ, আর পুরো দেশ জুড়েই ছড়িয়ে পড়ুক ভালোবাসার রঙিন আলপনা।
শুভ নববর্ষ ১৪৩২! বরেন্দ্র হোক বাঙালিয়ানার দীপ্ত আঙ্গিনা।