লালমনিহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজোওয়ানা পারভিন (সুমি) ভোটার তালিকার তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। , এবং নির্বাচন কমিশন তথ্য যাচাই না করে তাকে বৈধতা দেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ।

লালমনিহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজোওয়ানা পারভিন (সুমি) ভোটার তালিকার তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। , এবং নির্বাচন কমিশন তথ্য যাচাই না করে তাকে বৈধতা দেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ।

অনুসন্ধানে জানা যায় রেজোওয়ানা পারভীন (সুমি) পাটগ্রাম মহিলা আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সদস্য জানান, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার তালিকার ২৯৪ নম্বর ক্রমিকে নাম মোছাঃ রেজোয়ান পারভীন, ভোটার নং- ৫২০০৫৭৩৯২৩৪৫ ও জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রি.। ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে পানবাড়ী, পাটগ্রাম,  লালমনিরহাট। একই ভোটার তালিকার ৬৯৫ নম্বর ক্রমিকে ভোটার নাম্বার ৫২০০৫৭০০০৪৩৫, জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারি ১৯৯২ খ্রি. ঠিকানা একই উল্লেখ করা হয়েছে। 

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৭৬৬৮৯৪৩৫১, 
 জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারি ১৯৯২  
একই নাম ঠিকানায় আরো একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৭৮০৬৬৯৮০৫১। 
একই ব্যক্তির দুই ধরনের ভোটার নম্বর, ক্রমিক নম্বর ও দুই ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হয় বিষয়টি পুরো উপজেলায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালমনিহাট জেলা নির্বাচন কমিশনের বরাবর অভিযোগ করেছেন (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) অভিযোগের শুনানি আগামীকাল ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। 
জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার নম্বরের সঠিক কোনটি এবং 
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই না করে কিভাবে মনোনয়ন বৈধতা দিয়েছেন এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন ও জেলা রিটার্নিং অফিসার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।