পিরোজপুরের ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী নিজস্ব পরিবহনের অভাবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে অতিদরিদ্র পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা পাঠ গ্রহণ, চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টির একটি মাত্র ভ্যান রয়েছে। আর শিক্ষার্থী রয়েছে দেড় শতাধিক। ফলে একটি বাহনটি দিয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সময় মতো বিদ্যালয়ে পৌছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসেন।

এমনকি ১৪ কিলোমিটার দূরে থেকেও অনেক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী একা চলা ফেরা করতে অক্ষম। তাই তাদের জন্য বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক তাদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। এ বিষয়ে ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুল ইসলাম জানান, ইন্দুরকানী উপজেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও থেরাপির জন্য একক ভাবে আমাদের বিদ্যালয়টি চালু রয়েছে। আমাদের ১৫৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিদ্যালয়ে আসেন। এমনকি পাশ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার শিশুরাও এখানে ভর্তি আছেন।

এসকল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র ভ্যান রয়েছে। আবার অধিকাংশ শিক্ষার্থী হতদরিদ্র পরিবারের হওয়ায় তারা নিজস্ব খরচে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। অনেকের সাথে হুইল চেয়ার থাকায় সাধারণ যানবাহন তাদের নিতে চায় না। অনেক সময় বেশি ভাড়া দাবি করে। ফলে তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে দুটি ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক হলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা এখান থেকে সেবা নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে দুটি ইজি বাইক প্রদান করা হয় তাহলে তারা সঠিকভাবে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারবে এবং এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের মেধাবীকরষতি করতে লাভবান হবে।