রংপুরের পীরগাছায় পারুল ইউনিয়নের ত্রিপুর আজিজ আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি যোগদানের পর থেকে কর্তব্যের অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কমতে শুরু করেছে। ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন মহিলা শিক্ষক রয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন উপস্থিত আছেন। বাকি দুইজন অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষক শাহিদা বেগম জমি কিনতে গেছে আরেকজন তার বাবা অসুস্থ হওয়ায় চলে গেছেন।
তারা যে যার মতো করে স্কুলে যায় আসে।প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ঐ স্কুলের জমিদাতা পরিবারের সদস্য জিএম ফিরোজ আহমেদ।তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, একমাস পূর্বে স্কুলের টয়লেট ভেঙে ইট, রড ও দুটি স্টিলের দরজা রাতের আঁধারে লোক মারফত বিক্রি করে দেন।দুই লক্ষ টাকার মধ্যে নামমাত্র স্কুলের রঙ করে বাকি টাকা আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক।
তিনি ঠিক মতো স্কুলে আসেন না ফলে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।এবিষয়ে কেউ কিছু বলতে গেলে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বেগম ২০১৮ সালে যোগদানের সময় ১১০জন শিক্ষার্থী ছিলেন কিন্তু বর্তমানে ওই স্কুলে মাত্র ৭৩জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে উপস্থিত থাকে হাতেগোনা কয়েকজন। শুধু কি তাই! হাজিরা খাতায় ঠিকমতো শিক্ষার্থীদের এন্ট্রি নেই।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বেগম বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানিনা তবে স্কুলের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন সব জানেন। ত্রিপুর আজিজ আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও শরীফ সুন্দর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে এবিষয়ে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।স্কুলের ইট ক্রেতা খাজা ফরিদ উদ্দিন সাড়ে সাতশো ইট কেনার কথা স্বীকার করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।