সুন্দরগঞ্জে হাটে-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছ,প্রশাসন নীরব।

পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিকর আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছ গত ১৫ ই মে ২০২৫ইং সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনে বিক্রয়,বিপনন ও চারা রোপন নিষিদ্ধ করা হলেও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায় সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব গাছ।দামে সস্তা ও অল্প সময়ে বর্ধনশীল এ গাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় নার্সারির মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাজারে এনে বিক্রি করছেন।
বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন এমন বিশেষজ্ঞদের মতে অধিক পানি শোষণ, মাটির উর্বরতা হ্রাস, পাতা থেকে নিঃসরিত রাসায়নিক পদার্থ ইউক্যালিপটোল যা মাটিতে পরে অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত করে তাই পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিকর আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছের চারা বিক্রি,বিপনন ও চারা রোপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মীরগঞ্জ, শোভগঞ্জ,বেলকা,নগর কাঠগড়া, হাসানগঞ্জ,জামাল হাট সহ প্রতিটি হাট-বাজারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছ বিক্রি প্রশাসনের নাকের ডগায় বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানন দামে সস্তা ও অল্প সময়ে গাছ বেড়ে উঠে বলে তারা এ গাছ লাগতে বেশি আগ্রহী, পরিবেশের ক্ষতিকর বিষয়টি জানার পরও তারা এ গাছ লাগানোর প্রতি ঝুকছেন।বিক্রেতারা বলছেন বাজার এ দুটি গাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় তারা এ গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করছেন।ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছ বাজারে থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি বাড়ানোর জন্য তারা অন্যান্য গাছের পাশাপাশি ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছ বিক্রি করে থাকেন।
শুধু প্রজ্ঞাপন দিয়ে নয়,স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা নিয়মিত হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিকর আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশ মনি গাছর চারা বিক্রি, বিপনন ও চারা রোপন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।