ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, নির্মাণ ত্রুটি ও বৈদ্যুতিক সংযোগসহ নানা সমস্যায় এখনও উদ্বোধন অনিশ্চিত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরুর ১১ বছর পরও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, নির্মাণ ত্রুটি, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে প্রকল্পটি দীর্ঘ বিলম্বের শিকার হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে এবং হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে।
২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিসিইউ ভবনে। এরপর সরকার ৫৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়। ২০১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু শুরু থেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রকল্পটিকে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, করোনা মহামারি ও নির্মাণ ত্রুটির কারণে কাজ বিলম্বিত হয়। তিন দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি টাকায়।
প্রকল্পটি দীর্ঘদিন অচল থাকার ফলে ভবনের বিভিন্ন অংশে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নির্মাণ ত্রুটি এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত না হওয়ায় ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে এবং দেয়ালে ড্যাম্প দেখা গেছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, এসব ত্রুটি দ্রুতই মেরামত করা হবে এবং হাসপাতালটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চালু করা হবে।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানিয়েছেন, হাসপাতালটি বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলে এই চাপ অনেকটাই কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘হাসপাতালের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, হাসপাতালটিতে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে থাকছে উন্নত মানের সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ১৩টি লিফট, উন্নত শয্যাসুবিধা, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিভিন্ন বিশেষায়িত ওয়ার্ড।