বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের মতামত উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত বৈঠাকাটা উপজেলায় ইলুহার ইউনিয়নের নাম প্রস্তাবের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন পালিত হয়। প্রস্তাবিত বৈঠাকাটা উপজেলায় ইলুহার ইউনিয়নের নাম প্রস্তাবের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সকল শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বৈঠাকাটা উপজেলায় নামে একটি ফটোকার্ড অনলাইনে কিছু দিন ধরে পরিলক্ষিত হয়। সেখানে বৈঠাকাটাকে উপজেলা করার প্রস্তাব করা হয়, সেই প্রস্তাবিত উপজেলায় বানরীপাড়ার বিশারকান্দি ও ইলুহার ইউনিয়ন, নেছারাবাদের বলদিয়া ইউনিয়ন,নাজিরপুরের কলারদোয়ানিয়া, দেউলবাড়ী দোবড়া ও মালিখালী ইউনিয়ন নিয়ে বৈঠাকাটা নামে নতুন উপজেলা করার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টি বানরীপাড়া উপজেলাধীন বিশারকান্দি ও ইলুহারের জনগনের দৃষ্টিগোচর হলে সাধারণ জনগনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ইলুহার ইউনিয়নের যুব সমাজের উদ্যোগে বানরীপাড়া থেকে ইলুহারকে দ্বি-খন্ডিত না করার লক্ষ্যে এবং ইলুহার ইউনিয়নকে প্রস্তাবিত বৈঠাকাটা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সকল শ্রেনি পেশার লোকজন অংশগ্রহন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইলুহারের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক নুরু,১৬নং পশ্চিম মলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েয় প্রধান শিক্ষক আল আমিন, বলদিয়া মলুহার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান , ১৬ নং পশ্চিম মলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন,বিশারকান্দি শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আশিক আহমেদ ও বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। বক্তারা বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি বৈঠাকাটা উপজেলার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু লোক।এ নিয়ে আমাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আপত্তির জায়গা হলো- নতুন এই উপজেলার জন্য বানারীপাড়ার দুইটি ইউনিয়ন ইলুহার ও বিশারকান্দির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে এই অঞ্চলের সাধারণ জনগনের মতামত কে উপেক্ষা করে। যা এই এলাকার প্রান্তিক মানুষকে করেছে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই আমরা বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ও বিখ্যাত উপজেলা বানারীপাড়ার পরিচয়ে গর্বিত। আমরা এই জনপদের কৃর্তিমান শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক,শহীদ বুদ্ধিজীবী জ্যোর্তিময় গুহ ঠাকুরতা,আমীর আলী( মোগল আমলের চন্দ্রদ্বীপ জনপদের এযাবৎ আবিষ্কৃত প্রথম মুলসলিম লেখক,শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমদ্দার (ইলুহারের সন্তান), কুমুদ বিহারী গুহঠাকুরতা, জ্যোতিষ চন্দ্র রায়( পদ্মভূষন উপাধিতে ভূষিত খ্যাতনামা প্রাণরসায়নবিদ) সত্যপ্রিয় ঘোষ,অরুন্ধতী দেবীদের উত্তরসূরী। আমরা তাদের পরিচয়ে গর্বিত। আমরা ইলহার ও বিশারকান্দির জনগন আপনাদের প্রস্তাবনা থেকে এই দুইটি ইউনিয়নের নাম বাদ দেওয়ার জোর দাবি জানাই। এর ব্যত্যয় হলে দুই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ফুঁসে উঠবে "।
মানববন্ধনের শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে ওইদিনের কার্যক্রম শেষ করেন এবং পরবর্তীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সহ আরো কঠোর কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দিয়েছন বক্তারা।