ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আজ আফতাবনগরে ড্যাপ কর্তৃক নির্ধারিত জলাধার এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “এই জলাধারগুলোতে এখনই সাইনবোর্ড দিলে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে এটি সরকারি জলাধার। এতে কেউ প্লট কিনবে না, দখলের প্রবণতা কমবে।”
ডিএনসিসির তথ্যমতে, সাতারকুল মৌজায় ১৮৭টি, বাড্ডা মৌজায় ১৭২টি ও সুতিভোলা মৌজায় ১৮টি—মোট ৩৭৭টি দাগে ১৮৫ একর জলাভূমিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সংবলিত বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাতেও একই রকম অভিযান পরিচালনা করে বোর্ড বসানো হবে।
প্রশাসক উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “গত তিন দশকে আবাসন খাতে একটি অনৈতিক ও কালো অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি হয়েছে। জমিকে পণ্য করে তোলা হয়েছে, যা সৎ নাগরিকদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এই অমানবিক অর্থনৈতিক কাঠামোই এখন আমাদের নগর ব্যবস্থাকে অন্যায্যতার ফাঁদে ফেলেছে।”
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: রিয়াজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, জলাধার রক্ষায় ভূমি হস্তান্তর, বিক্রয় কিংবা শ্রেণি পরিবর্তনের যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে।