কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা বর্বর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার নেতৃত্ব দেয় শুকুর আলী নামের এক যুবক, যিনি রহিমপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।


হামলায় সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। আহত সাংবাদিকরা হলেন:

সুমন কবির ভুঁইয়া (দেশ টিভি)
মঈন নাসের খাঁন রাফি (বার্তা ২৪)
শাহ ইমরান (দৈনিক খোলা কাগজ)
আব্দুল্লাহ আল মারুফ (স্টার নিউজ)
হাবিবুর রহমান মুন্না (আমার বার্তা)
মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ (এশিয়ান টিভি)
মো. বাপ্পি (এসএ টিভি, ক্যামেরাম্যান)

ঘটনার পর সাংবাদিক মহল ও সচেতন নাগরিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ও তার বাবার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি আল্লাহু চত্বরে পৌঁছালে বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

আহত সাংবাদিক শাহ ইমরান বলেন, “আমরা দায়িত্ব পালন করছিলাম, কিন্তু আমাদের টার্গেট করেই হামলা হয়েছে।”
সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মুন্না জানান, হামলার ছবি তুলতে গিয়েই হামলার শিকার হই আমরা।

কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা কাপুরুষতা। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি। ভিডিও ও ছবি পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।