উৎসবমুখর পরিবেশে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে গোরা-কারিম প্যানেল বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
ফলাফল ঘোষণা করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শমসের আলী মোহন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই প্রার্থী। নির্বাচনে শেখ কামরুল ইসলাম গোরা (ছাতা প্রতীক) ৩৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান (আনারস প্রতীক) পান ২১৯ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শরিফুল কামাল কারিম (কলস প্রতীক) ২৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইফতেখার আহমেদ পলাশ (ফুটবল প্রতীক) পান ২৭৬ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে। নির্বাচনে খান লিয়াকত আলী (মাছ প্রতীক) ৩২৮ ভোট এবং নোমান আলী মেহেদী (গোলাপ ফুল প্রতীক) ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুশফিকুজ্জামান রিপন (আম প্রতীক) পান ২৪০ ভোট এবং আলমগীর কবির (সাইকেল প্রতীক) পান ২১৫ ভোট।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ.টি.এম আকরাম হোসেন তালিম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শমসের আলী মোহনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকির সহিদুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. ফরহাদ হোসেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ছিলেন ৫৬৮ জন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আয়োজিত এ সম্মেলনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।