ফেনীতে উত্তর ডাক্তার পাড়ায় স্টাডি কেয়ার কোচিং-এর হল রুমে টিচার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েট এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার (২৩ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় এসোসিয়েট এর পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রধান শিক্ষক(অব) আবদুল আজিজ মানিক এর সঞ্চালনায় এবং এসোসিয়েট এর সভাপতি ও বক্তারমুন্সি শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মমিনুল হক এর সভাপতিত্বে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে আগত অন্যান্য অতিথিবৃন্দে ফুল দিয়ে বরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা এবং এসোসিয়েট এর পক্ষ থেকে আয়োজিত বৃত্তি পরিক্ষা ২০২৪ এর ফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারঃ) ও টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েট এর উপদেষ্টা এড. সমীর চন্দ্র কর, লস্কর হাট এস. সি. লাহা ইনিষ্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক এ. কে. এম. ফরিদ আহম্মেদ, ২০২৪ইং বৃত্তি পরিচালনা কমিটর সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম সহ প্রমুখ। বক্তারা এসময় বলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কোন না কোন রাজনৈতিক দলের লোক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃদ্ধ বয়সে আমাদের কথা বলার জায়গা থাকেনা। টিচার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েট হলো তেমন একটা প্রতিষ্ঠান যেখানে আমরা সমমনা স্যাররা কথা বলতে পারি। পারিবারিক শিক্ষা যাদের ভালো হয় তারা অনেকদুর এগিয়ে যায়। এযাবতকালে শুধুমাত্র একবার আমরা উপহার তুলে দিতে পারিনাই সেটা হলো করোনা মহামারীর সময়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কে এম ফরিদ আহমেদ বলেন ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা যত বেশি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের মন থেকে তত পরিক্ষার ভয় কেটে যাবে। এমন ভাবে পড়াশোনা করবে যাতে সমাজ তথা দেশ বি-নির্মানে তোমাদের ভুমিকা থাকে। তিনি আরো বলেন মা, বাবা, ও শিক্ষকের কথা যারা শুনে তাদের মেধা সামান্য খারাপ হলেও সে কখনো পিছনে পড়ে থাকে না। তিনি আগত শিক্ষার্থীদেরকে মা বাবার সাথে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পরামর্শ দেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন মেধাবীদের সীকৃতি স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতেও দেয়া হয় পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। আগত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন ইন্টারনেটের ও মোবাইলের আসক্তি কমানোর চেষ্টা করবেন পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যনা কাজে আবদ্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন বিশ্ব রোবোটিক্স এর দিকে যুকছে। দেখাযাবে আমাদের সামনের দিন গুলোতে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য এত লোক দরকার হবেনা, সকল দায়িত্ব রোবটরাই পালন করবে। অর্থাৎ সবাইকে দক্ষ করে গড়েতুলার দিকে মনোযোগ দেয়া অনুরোধ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।